১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুরলিকান্ত পেটকার (Paralympic Hero) হলেন ভারতের প্রথম প্যারালিম্পিক পদকজয়ী। মুরলিকান্ত পেটকার ১৯৭২ সালের হাইডেলবার্গ গেমসে পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল-৩ ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ভারতীয় প্যারা সাঁতারু ৩৭.৩৩ সেকেন্ডের একটি বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
পেটকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্পস অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের (ইএমই) একজন জওয়ান ছিলেন। এর পাশাপাশি মুরলিকান্ত পেটকার (Paralympic Hero) ছিলেন একজন মুষ্টিযোদ্ধা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় দেশরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পাক বিমান বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন। মুরলিকান্ত পেটকার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি বেশ কয়েকটি গুলিতে আহত হই। গুলি করার পর আমি পাহাড় থেকে পড়ে যাই। আমি পড়ে গেলে পিছন থেকে আসা সেনাবাহিনীর একটি ট্যাঙ্কার আমার উপর দিয়ে চলে যায়। আমি ১৮ মাস ধরে কোমায় ছিলাম। আমি পরে জানতে পারি যে আমি কোমর থেকে নিচে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।”
এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি সাঁতার কাটতে শুরু করেন এবং এতটাই দক্ষ হয়ে ওঠেন যে তিনি (Paralympic Hero) প্যারালিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দেন। তাও আবার বিশ্বরেকর্ড করে। সাঁতার ছাড়াও পেটকার অন্যান্য খেলায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালের গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিকে টেবিল টেনিসে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম রাউন্ড ক্লিয়ার করেন।
১৯৪৪ সালের ১ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী মুরলিকান্ত ২০১৮ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন। সম্প্রতি মুরলিকান্তের (Paralympic Hero) জীবনীর ওপর ভিত্তি করে ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ নামে ফিল্ম বানিয়েছেন পরিচালক কবির খান। ছবিটিতে মুরলিকান্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কার্তিক আরিয়ান।