মাঝে কেটে গিয়েছে দশদিন। তৃণমূল সেনাপতির মুখে কুলুপ। অথচ তৃণমূল সেনাপতি তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্যের জন্যেই সর্বজন সমাদৃত। কিন্তু আরজি করের মতো এত ঘটনাবহুল ইস্যু নিয়ে তিনি কেন চুপ? শোরগোল শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে নীরবতা ভেঙে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন তৃণমূল সেনাপতি। তিনি লিখলেন ‘ওয়েক আপ ইন্ডিয়া’।
বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন অভিষেক, সেখানে তিনি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দিতে। যে আইনে ধর্ষণের ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এবং তার পরে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।
Over the past 10 days, while the nation has been protesting against the #RGKarMedicalcollege incident and demanding justice, 900 RAPES have occurred across different parts of India – DURING THE VERY TIME WHEN PEOPLE WERE ON THE STREETS PROTESTING AGAINST THIS HORRIBLE CRIME.…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) August 22, 2024
অভিষেক লিখেছেন, ‘‘গত ১০ দিনে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সুবিচারের দাবি করছে, তখনও দেশ জুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ৯০০ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৯০টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট লেখানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় চারটি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট দায়ের হয়েছে। অথচ এত কিছু সত্ত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না।’’
আরজি করের ঘটনার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মুখ খুললেন অভিষেক। গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেড এবং হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পাঁচ দিন পরে ১৪ অগস্ট মাঝরাতে অভিষেক প্রথম ওই বিষয়ে মন্তব্য করেন। ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ‘রাত দখলের’ ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদ চলাকালীনই আচমকা আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এক দল দুষ্কৃতী। অভিষেক সেই ঘটনার পরেই প্রথম সমাজ মাধ্যমে মুখ খোলেন।