আরজি কর হাসপাতালের শিক্ষার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে(Supreme court) অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। হাইকোর্ট বলেছিল মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্যবর্তী রিপোর্ট জমা দিতে। তার আগেই সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা নিজের হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিয়ে সিবিআই তদন্ত নবম দিনে পড়ল। এই নয় দিনে সিবিআই নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করেনি। এমনকী হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দফায় দফায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কয়েকজন চিকিৎসা কর্মী ও পুলিশকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অভিযুক্তের পলিগ্রাফি টেস্টও বুধবার পর্যন্ত হয়নি। যদিও মঙ্গলবারই আদালত ওই টেস্টের প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়ে দেয়।
ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শম্বুক গতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সিবিআই তদন্ত চেয়ে তারাই সবচেয়ে জোরালো দাবি তুলেছিল। তদন্ত শুরুর অষ্টম দিনেও দৃশ্যত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় বিজেপি নেতারা এখন সিবিআইয়ের হয়ে সাফাই দিতে শুরু করেছেন।
গত ১৪ অগস্ট আরজি করে নিগৃহীতার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন মহিলাদের একাংশ। সেই রাতে একদল দুষ্কৃতী এসে কার্যত তাণ্ডব চালায় হাসপাতাল। পুলিশ আধিকারিকদের মারধরের পাশাপাশি রোগী-রোগীর পরিজনদের উপরেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের এমার্জেন্সি, ইএনটি বিভাগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধ, রোগীদের নথিপত্র। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়।
শুনানির প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রশ্ন ওঠে আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও। তবে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরুতেই উষ্মাপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ তখন কী করছিল?”