সোমবারের শুনানিতে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল শীর্ষ আদালত(Supreme court)। ওই ঘটনায় তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, কতটা এগিয়েছে তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবারের শুনানিতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের সুপ্রিম কোর্টে এমনই অভিযোগ করলেন আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, “হাসপাতালে এখনও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।” ছাত্রদের অভিযোগ শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কে এমন করছেন? তাঁর নাম আমাদের দিন।” চিকিৎসকদের আইনজীবী আদালতে বলেন, “রাজ্য এমন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে, যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে আমরা তদন্তের রিপোর্ট দেখব। তার পরে রাজ্যের গঠিত সিট নিয়ে আদালত বিবেচনা করবে।” আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্যও। কর্মবিরতি ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। জবাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানায়, রাজ্য তাদের হাতে এটা দেয়নি। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কেস ডায়েরির মধ্যে সব রয়েছে। গত মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় দেশের ডাক্তারদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই মামলার শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ঘটনাটি মাত্র একটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট একটি ধর্ষণের বিষয় আর নেই। দেশজুড়ে তামাম ডাক্তারদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত ব্যবস্থাগত সম্পর্ক জড়িয়ে গিয়েছে।