পর পর ৮ দিন! শুক্রবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ(Sandeep Ghosh)। এদিন ফের তিনি সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখোমুখি হবেন বলেই খবর। এদিকে আর জি কর হাসপাতাল মুড়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুপ্রিম কোর্ট কাজে ফিরতে বললেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সূত্রেই সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সময়ে তিনি ছিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সন্দীপের অপসারণ চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি তদন্ত প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। শেষে আন্দোলনের চাপে পড়ে সন্দীপ পদত্যাগ করেন। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে জমা দেন ইস্তফাপত্র।
এদিকে শুক্রবার সকালেই আর জি কর হাসপাতালে দুরকম ছবি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মুড়ে ফেলেছে হাসপাতাল। একদিকে, কড়া পাহাড়ার মধ্যেই লেগে রয়েছে রোগীদের আনাগোনা। অন্যদিকে এখনও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট যে ঘটনার সঙ্গে একাধিকের যোগ রয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তার মাত্র একজন। ফলে বাকি অভিযুক্তরা এখনও খোলা আকাশের নিচে। বাকি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সব হয়েছেন কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের আঁচ দিল্লিতে। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করবেন সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবীরা।
সিজিও কমপ্লেক্সে কোনও দিন নিজের গাড়ি নিয়ে যাননি সন্দীপ। বুধবার রাতে তাঁর সেই গাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। গাড়ি নিয়ে চালককে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছতে বলা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের একটি গাড়িতে চড়েন সন্দীপ। কিসের খোঁজে সেখানে তল্লাশি চালানো হল, এখনও স্পষ্ট নয়। সন্দীপের গাড়ির চালককেও সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা।