আরজি কর ইস্যুকে হাতছাড়া করতে চাইছে না বঙ্গ পদ্ম(Bjp) শিবির। কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা, শ্যামবাজারের টানা পাঁচ দিন ধরনা অবস্থান এবং স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পর আজ, শুক্রবার কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছেন, ‘‘যেভাবে রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতন, খুন ধর্ষণ অরাজকতা বিশৃঙ্খলা চলছে তারই প্রতিবাদে এবং অবশ্যই আরজি কর ইস্যুতে এবং শান্তিপূর্ণ স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশের বাধার কারণেই শুক্রবার কলকাতা এবং রাজ্যের সমস্ত থানার সামনে বিজেপি বিক্ষোভ দেখাবে।’’
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই-সহ শাসক দল এবং সরকারকে নিশানা করে দুর্নীতি ও বেনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগে সরব হতে দেখা গিয়েছিল পদ্ম শিবিরকে। যদিও ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই ভোটাররা আস্থা রাখার ছবি সামনে আসে। আর এবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরজি কর ইস্যু যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে আরজি কর ঘটনাকে জিইয়ে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বঙ্গ বিজেপির এই প্রধান দুই মুখ স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আরজি করে হাড়হিম করা ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।’’
অন্যদিকে শুধু চিকিৎসকরা নন, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব সবমহল। পথে নেমেছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। এরই মাঝে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে কোনও কর্মসূচিতে শামিল হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল শিক্ষাদপ্তর। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আন্দোলন রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি বিরোধীদের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।