খবর এইসময়,নিউজ ডেস্কঃ সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সময় ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের গবেষকরা জানিয়েছেন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে শীতেই।
করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে ব্রিটেনে এখন বিশ্বের কোভিড তালিকায় ১০ নম্বরে। এপ্রিলের মাঝামাঝি ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বিশ্বের কোভিড তালিকায় প্রথম পাঁচে চলে এসেছিল ব্রিটেনের নাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত এমনটাই দাবি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও দেশের অ্যাকাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্স।
তবে করোনার ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীতকালে আসতে পারে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’। শীতকালে এমনিতেই সর্দি, কাশি, সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের প্রভাব বেড়ে যায়। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। এই সময়েই সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন তার জিনের গঠন বিন্যাস বদলে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বহু মানুষের মধ্যে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইস বলেছেন, “একটা সময় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে ছিল। এত বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিল যে হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে আইসোলেশন বেডের অভাব দেখা দিয়েছিল। রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছিলেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বেশিরভাগ ডাক্তারই হয় সংক্রমিত হয়ে আইসোলেশনে ছিলেন বা সংক্রমণ সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও, করোনার প্রথম ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে ওঠা যায়নি। এখনও ভাইরাস সক্রিয় বহু মানুষের শরীরে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ধাক্কা এলে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে ব্রিটেনেই।“
অন্যদিকে, ব্রিটেনের অ্যাকাডেমি অব মেডিক্যাল সয়েন্সের গবেষকরা বলছেন, “শীতের সময়েই ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। আইসোলেশন বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন না আসা অবধি ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে হাই-রিস্ক গ্রুপে থাকা রোগীদের। এই ভ্যাকসিন সর্দি, কাশি বা ভাইরাল ফিভারের ঝুঁকি কমাবে।“