আর জি কর ইস্যুতে দল এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। ফের আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল কুণাল ঘোষের পোস্টে(Kunal Ghosh)। কুণালের প্রশ্ন, “প্রশাসন এমন কোনও কাজ করবে কেন যে অবস্থা সামলাতে শাসক দলকেও বিচার চাই বলে কর্মসূচি নিতে হবে? তাও দলের সবাই সমানভাবে নামেন না।”
রবিবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আত্মসমালোচনার প্রয়োজনীয়তা বোঝালেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ” নাগরিকদের মিছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের মূল দাবি আমিও সকলের মতই সমর্থন করি। বিচার চাই। প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বুঝেছেন। সেখান থেকে বিরক্তি, অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেই নাগরিকদের পথে নামতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বও সরকারের।” তাঁর স্পষ্ট কথা, ” নাগরিকদের মিছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের মূল দাবি আমিও সকলের মতই সমর্থন করি। বিচার চাই। প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বুঝেছেন। সেখান থেকে বিরক্তি, অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেই নাগরিকদের পথে নামতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বও সরকারের।”
একই সঙ্গে এই ইস্যুতে সিপিএম এবং বিজেপির ‘কুরাজনীতি’ নিয়েও নাগরিক সমাজকে সতর্ক করেছেন প্রাক্তন সাংসদ। তিনি বলছেন, “এই ঘটনায় নাগরিক সমাজের প্রশ্ন তোলার অধিকার আছে। বিরোধিতা কেন করব? কিন্তু সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস এনিয়ে কুরাজনীতি করছে; তার প্রতিবাদ হবে, তারা আয়নায় মুখ দেখুক।” কুণালের মতে, নাগরিকদের কর্মসূচির বিরোধিতা বা পাল্টা কর্মসূচির প্রশ্নই নেই। কিন্তু, এই নাগরিকদের আবেগকে ব্যবহার করে সিপিএম, বিজেপির কুরাজনীতি বা মুখোশ পরে অরাজকতা তৈরির চেষ্টার বিরোধিতা করা জরুরি।