নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: তৃণমূলের নেতানেত্রীদের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে টাকার লোভ। যার কারণে রাজ্যের শাসকদলের সবাই দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। আর এর ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। এমনই মনে করছেন বিজেপির জাতীয় নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বহু জায়গায়। যাঁদের কোনও ক্ষতিই হয়নি তেমন বহু মানুষের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা তার কারণ, তিনি পঞ্চায়েত বা পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলে। অথচ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরা সেই সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তৃনমূলের এই স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে এদিন হাওড়া জেলার পাঁচলা এলাকায় একটি পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। সেই সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোটের সময়ে সময়ে একটা চকোলেট বোমাও ফাটে না। আর এখানে পঞ্চায়েত ভোটে কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে কী হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি।”
ভোটের সময়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করার পিছনে রয়েছে টাকার লোভ। এমনই অভিযোগ করেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে দুর্নীতি করা টাকা উপার্জন করার জন্যেই ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সেই কারণেই নির্বাচনে জেতার জন্য হিংসা এবং সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হচ্ছে তৃণমূলকে। জয়ের কথায়, “বাম জমানার পরে মেদিনীপুরের দিকে অনেক জায়গায় মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। তৃণমূল চলে গেলে মাটি খুঁড়লে টাকা পাওয়া যাবে।”
তৃণমূলের নেতানেত্রীদের টাকার লোভের কারণেই পঞ্চায়েত স্তরে এত বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জয়। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন যে এই সকল তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে টাকা উপার্জন করে নিল। যা সাধারণ মানুষের কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। অথচ সাধারণ মানুষ কিছুই পেল না। তাঁদের অবস্থা খারাপই থেকে গেল। এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিজেপির কোনও বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।