ফের বিতর্কে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নেতা কিম জং উন। তিনি তাঁর দেশের ৩০ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। তাদের দোষ ছিল যে তারা দেশকে ভয়াবহ বন্যা থেকে বাঁচাতে পারেনি, যা উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ক্ষুব্ধ করে। বন্যায় চাগাং প্রদেশের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং ৪,০০০-এরও বেশি মানুষ মারা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা চোসুন টিভি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কিম জং এই দুর্যোগে যারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের সকলকে শাস্তি (North Korea) দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসেও দলের ২০-৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। চাগাং প্রদেশের বরখাস্ত হওয়া দলীয় সম্পাদক কাং বং হুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার (North Korea) বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের একাংশ। ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এত বড় ট্র্যাজেডির পর কিম জং নিজে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিছু ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে যে, শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী সৈন্যসহ ১৫,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্যা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা ১০০০-১৫০০ এরও বেশি হবে বলে আশা করা হয়েছিল, যা নিয়ে কিম জং উন আপত্তি জানিয়েছিলেন, কিন্তু পরে যখন তিনি (North Korea) নিজে পরিদর্শন করেন, তখন আসল পরিসংখ্যান বেড়িয়ে আসে। সেই সময় কিম জং-উন এই ধরনের প্রতিবেদনকে “মানহানিকর” বলে অভিহিত করেছিলেন।