মোদী সরকার ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল হল। মোদী সরকারের আমলে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন অস্ত্র সমর্পণ (Tripura) করে জীবনের মূলধারায় ফিরে এসেছে। ত্রিপুরা সরকার এবং রাজ্যের দুটি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হল। এই চুক্তির লক্ষ্য হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং হিংসার অবসান ঘটানো। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (Tripura), বিশেষ করে আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ভাষা ও পরিচয় সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্ব ও দিল্লির মধ্যে সড়ক, রেল ও বিমানের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কেবল উত্তর-পূর্ব ও দিল্লির মধ্যে ব্যবধানই পূরণ করেননি, বরং হৃদয়ের মধ্যে দূরত্বও দূর করেছেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ত্রিপুরার শান্তি ও অগ্রগতির যাত্রাপথে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নর্থ ব্লকে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (এনএলএফটি) এবং অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের (Tripura) সময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অমিত শাহ বলেন, মোদী সরকারের উপর আস্থা রেখে, NLFT এবং ATTF ৩৫ বছরের পুরনো সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে মূলধারায় ফিরে আসতে, হিংসা ত্যাগ করতে এবং একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত ত্রিপুরা গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, “মোদী সরকার উত্তর-পূর্বের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ভাষা ও পরিচয় সংরক্ষণের মাধ্যমে। অমিত শাহ বলেন, মোদী সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাক্ষরিত সমস্ত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেছে।”