আরজি কর কাণ্ডে (Justice For RG Kar) বার বার বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই তথ্য কার্যত খারিজ করে দিতে চলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, নির্যাতিতা তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়নি। তাঁকে সঞ্জয় রায় একাই ধর্ষণ করেছিল। যা যা তথ্যপ্রমাণ এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে এসেছে, তাতে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডে (Justice For RG Kar) অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য দিল্লি এইমসের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রায় ১০০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে বলে জানা গিয়েছে। ১০ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় অন্যকারও যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দেবে। তখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত সমস্ত তথ্য জানা যাবে।
৯ আগস্ট আরজি করের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারপর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ পুলিশের তরফে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রথম কয়েকদিন কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ১৩ আগস্ট এই মামলার দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বাবা-মা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন। ৪ আগস্ট রাতে নির্যাতিতার বাবা-মা আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁরা সেদিন সরাসরি পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সারা রাজ্যের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ইতিমধ্যএ দুদিন রাজ্যের বাসিন্দারা রাত দখলের ডাক দিয়েছে। সেখানে বিপুল সাড়া পড়ে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে একাধিক আশঙ্কা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।