প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ শুক্রবার অমিত শাহের জম্মু ও কাশ্মীর (J&K Assembly Election) সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শাহকে স্বঘোষিত চাণক্য হিসেবে বর্ণনা করে রমেশ ২০১৮ সালে পিডিপি-বিজেপি সরকারের পতনের পর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রনের সমালোচনা করেন। তিনি শাসন সম্পর্কে শাহের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং উল্লেখ করেন যে, তারপর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর (J&K Assembly Election) মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। জয়রাম রমেশ অমিত শাহকে চারটি প্রশ্নও করেছেন।
এক্স-এ জয়রাম রমেশ লিখেছেন যে স্বঘোষিত চাণক্য আজ জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K Assembly Election) রয়েছেন। ২০১৮ সালে পিডিপি-বিজেপি সরকারের পতনের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। স্বঘোষিত চাণক্যকে তাঁর শাসন সম্পর্কে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানতে চান, জম্মু ও কাশ্মীর আবার কবে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে? দ্বিতীয়ত, আপনার আমলে কেন জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? তৃতীয়ত, কেন কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক কার্যনির্বাহীর ক্ষমতা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করছে? এবং চতুর্থত, ২০১৯ সাল থেকে কেন জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের (J&K Assembly Election) জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ইশতেহার প্রকাশ করে বলেছেন, “৩৭০ ধারাটি এখন ইতিহাস হয়ে গেছে এবং আর কখনও ফিরে আসবে না।” এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা বলেন, গত ১০ বছরের সময়কাল দেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে সুবর্ণ অক্ষরে লেখা হবে এবং সুশাসন অব্যাহত রাখতে জনগণকে তাঁর দলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে ১৮ ও ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর।