আরজি করের (Justice for RG Kar) সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশের তরফে প্রথম থেকে দাবি করা হচ্ছিল, সঞ্জয় রায় ধর্ষণ করে খুন করেছে। সমস্ত প্রমাণ সেই দিকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সঞ্জয় রায় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। তবে সিবিআই মনে করছে, আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় অন্যতম অভিযুক্ত।
সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী কবিতা সরকার আদালতে বলেন, “আমার মক্কেল প্রথম থেকে বলে আসছেন, তিনি নির্দোষ। তিনি কিছু করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীকে মৃত তরুণীকে সেদিন ভোরবেলা দেখেন। তারপরেই সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে আসেন। কোনওভাবেই তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে সে যুক্ত নয়।” এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, তরুণীর দেহের পাশ থেকে সঞ্জয়ের ব্লুটুথ হেডফোনের ছেঁড়া অংশ পাওয়া যায়। সেটা কীভাবে পাওয়া যায়। এর জবাবে সঞ্জয় রায়ের আইজীবী বলেন, মৃত তরুণীকে দেখে সঞ্জয় দৌড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর কাছ থেকে হেডফোনটি পড়ে যায়। কেউ প্ল্যান করে মৃত তরুণীর দেহের পাশে রেখে দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্টের ভোর ৪.০৩-এর একটি ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সঞ্জয় রাই চার তলার করিডর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সেখান দিয়েই সেমিনার হলে (Justice for RG Kar) যাওয়া যায়। সেই সময় তাঁর গলায় ছেঁড়া হেডফোন ছিল। এই ছবিটিকে হাতিয়ার করেই সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে।
বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে (Justice for RG Kar) সিবিআই। ঘটনার সঙ্গে এক জন যুক্ত নাকি একাধিক জন যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। সেই তদন্তের রিপোর্ট সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে। তারপরেই হয়তো বোঝা যাবে সঞ্জয় রায় সত্যি কথা বলছেন নাকি মিথ্যা কথা বলছেন।