আরজি কর দুর্নীতিতেও( Sandeep Ghosh) টাকা অন্যত্র সরানোর হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই টাকা সরেছে অন্যত্র। তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে ইডি।
শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানোর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ওই সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।
এদিকে, আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। আটক করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জেরা করা হয় পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকি গোটা বাড়িজুড়ে চলে তল্লাশি অভিযানও। এদিকে, শুক্রবার সাত সকালে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতেও হয় ইডির হানা। সূত্রের খবর মারফত জানা যায়, হুগলির পাদ্রী পাড়ার বিবেকানন্দ সরণিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি। এই বাড়িতেই সাতসকালে ইডির আধিকারিকেরা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের নিয়ে হানা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে কেউ থাকে না, তালা বন্ধই থাকে বেশিরভাগ সময়। সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তবে বর্তমানে এই বাড়িতে তাঁরা থাকেন না বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর সেই কারণেই তালা বন্ধ দেখে ফিরে যান ইডির আধিকারিকেরা।এরপর বৈদ্যবাটি নার্সারি রোডে কুণাল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন।