সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি শুরু হয়েছে। সেই শুনানি শুরু হওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দু শেখর Sukhendu Sekhar Roy) লেখেন, ৫২ বছর ধরে নিউইয়র্কের ফেডারেল বিচারক ও বিল অফ রাইটসের দোভাষী ছিলেন লার্নড হ্যান্ড। তিনি একবার বলেছিলেন, “আমরা যদি গণতন্ত্র বজায় রাখতে চাই তবে এটি নির্দেশ সব সময় বজায় রাখতে হবে। আপনি ন্যায়বিচারকে রেশন করতে পারেন না। WE DEMAND JUSTICE.”
আরজি কর কাণ্ডের তিনি প্রথম শাসক দলের সাংসদ (Sukhendu Sekhar Roy) যিনি মুখ খুলেছিলেন। তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি ধরনায় বসেছিলেন। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ জহর সরকার। জহর সরকারের পদত্যাগের পর সুখেন্দু শেখরের মন্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল। দেড়শো কোটি মানুষের মধ্যে আমার অস্তিত্ব বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার অবস্থান থাকবে।”
৯ আগস্ট আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদের পর প্রথম রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয় ১৪ আগস্ট। রাত দখলের ওই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিলেন সুখেন্দু শেখর রায়। বলেন, তিনি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। সেদিন তিনি যোধপুর পার্কের নেতাজি মূর্তির সামনে ধরনায় বসেন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর ফের তিনি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে দেন।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের শুনানি চলছে। গোটা দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আছে কী? প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলো রিকনস্ট্রাক্ট করতে হবে। তবে মাতর ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে আগামী মঙ্গলবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়েছে। অন্যদিকে, অভিযোগ উঠছে, মহিলা CISF কে রাজ্যের তরফে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। দেড় ঘণ্টা দূর থেকে তাঁদের কাজে আসতে হচ্ছে।