নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন (CM Mamata Banerjee), “আপনারা প্রতিদিন রাতে জমায়েত করছেন। পুলিশ পুজোর সময় রাত জেগে পাহারা দেয়। পুলিশ দুর্ঘটনা ঘটলে রাত জেগে পাহারা দেয়। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে রাত জেগে পাহারা দেয়। কিন্তু আপনারা রোজ রোজ রাতে জমায়েত করছেন। পুলিশকে পাহারা দিতে হচ্ছে। অনেক রাত অবধি মাইক বাজছে। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অনেক বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। তাঁদের অসুবিধা হচ্ছেন। আপনারা উৎসবে ফিরে আসুন।”
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)পুলিশের প্রশংসা করেন। তিনি (CM Mamata Banerjee) বলেন, “পুলিশ সংযত ভূমিকা পালন করেছে। নিজেদের রক্ত গিয়েছে। কিন্তু কোনও রক্ত নেয়নি।” যদিও রাজ্যের মানুষ বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার দেহ অতি সক্রিয়তার সঙ্গে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নির্যাতিতার দেহ দাহ করার আগে পুলিশের তরফে নির্যাতিতার বাবাকে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে খোদ নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। পাশাপাশি ১৪ তারিখে আরজি করে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেখানে কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশ দুষ্কৃতীদের ভয়ে মহিলা শৌচালয়ে লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা পুলিশ ও নগরপাল বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কার্যত ফেটে পড়ে। প্রায় প্রতি মিছিল থেকে বিনীত গোয়েল ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে থাকে।
নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সোমবার আমি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে আমি বলেছিলাম, ভবিষ্যতে মেয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছু করতে চাইলে করতে পারেন। আমি সেই টাকা দেব। আমি টাকার কথা উল্লেখ করেনি। প্রমাণ দিন, আমি টাকার কথা কোথায় উল্লেখ করেছি।”প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বড় ঘোষণা করেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা যোগ না দেন, সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তাঁদের বদলি করা হবে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কোনও বয়ান পাওয়া যায়নি।