এবার লালবাজার অভিযান শুরু করল বামেরা। সিপির (Vineet Goyal) পদত্যাগের দাবিতে বামেরা সোমবার দুপুরের দিকে লালবাজার অভিযান শুরু করে। বামেদের লালবাজার অভিযান রুখতে বসেছে পুলিশের পুলিশের ব্যারিকেড, গার্ডরেল। এই প্রসঙ্গে প্রবীণ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সিপির (Vineet Goyal) কোনও যোগ্যতা নেই। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।”
এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল বিনীত গোয়েলের (Vineet Goyal) পদত্যাগ দাবি করে লালবাজার অভিযান করেন। সেই অভিযানে রাজ্যের সাধরণ মানুষ যোগদান করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজারে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা ফিয়ার্স লেনের ওপর বসে পড়েন। সেখান থেকেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সেদিন সাধারণ মানুষ রাত জাগেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন। ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর কার্যত মাথা নত করে লালবাজার। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দলকে বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে একটি স্মারকলিপি দেয়। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা বিনীত গোয়েলকে একটি প্রতীকি শিরদাঁড়া দেন।
অন্যদিকে, সোমবার সকালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাতদিন আগে সিপি নিজে এসেছিলেন আমার কাছে পদত্যাগ করতে। কিন্তু সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডারটা বড় বিষয়। যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো বিষয়টা জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন, সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।”
শুধু বিনীত গোয়েল নয়, সাধারণ মানুষ আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার দেহ অতি সক্রিয়তার সঙ্গে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নির্যাতিতার দেহ দাহ করার আগে পুলিশের তরফে নির্যাতিতার বাবাকে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে খোদ নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ১৪ তারিখে আরজি করে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেখানে কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। তবে কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশের রক্ত ঝরেছিল। কিন্তু পুলিশ কারও রক্ত ঝরায়নি। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, পুলিশ রাত জেগে দুর্গাপুজোতে ডিউটি করেন। পুলিশ দুর্ঘটনার সময় রাত জেগে ডিউটি করেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সারারাত পুলিশ থাকে। এখন এই আন্দোলনের জন্য সারারাত জেগে পুলিশকে থাকতে হবে কেন?