আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) গ্রেফতার হওয়ার আগেই তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আবার গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। শুধু সন্দীপের বাড়িতেই নয়, তাঁর শ্যালিকা, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেই তল্লাশি থেকেই সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়িতে সেই ল্যাপটপটি ছিল না। বরং তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ল্যাপটপটি ছিল। সেখান থেকেই ইডি তল্লাশি অভিযানে ল্যাপটপটি উদ্ধার করেছে। ইডির দুর্নীতি মামলায় সেই ল্যাপটপটি মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। ইতিমধ্যে সেই ল্যাপটপ থেকে দুর্নীতির একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল (Excel) ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই মেইল।
ইডি ল্যাপটপ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরিয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। কোনও কিছু ল্যাপটপ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখছে ইডি। তবে ইডির দাবি ল্যাপটপ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নথি পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের প্রিন্সিপাল থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতি অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার এক্তিয়ার আলি অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আরজি কর কাণ্ডের পরেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন এক্তিয়ার আলি। হাইকোর্ট সেই তদন্তের ভার সিবিআইকে দেয়। আর্থিক দুর্নীতি যুক্ত থাকার কারণে সেই তদন্ত বর্তমানে ইডি করছে।
অন্যদিকে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সিবিআই পুলিশ ও আরজি কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি ফরেন্সিক চিকিৎসকদের নমুনা পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।