সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের (Junior Doctors)কাজে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়। তা না হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাওয়া। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে, তাঁরা কাজে ফিরবেন না। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য ও কপিল সিব্বল মিথ্য তথ্য পরিবেশন করেছে।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা (Junior doctors)বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকরা কখনই স্বাস্থ্য পরিষেবার মূল স্তম্ভ নয়। আমর শিক্ষানবীশমাত্র। আর পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, যদি জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ে, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা সামনে উঠে আসে। বুঝতে হবে রাজ্যে তাহলে উপযুকিত পরিমাণ সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব রয়েছে। আর এটা বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবাকেই ইঙ্গিত করে।”
জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors) সাংবাদিক সম্মেলনে পরিসংখ্যান গত হিসেব তুলে ধরে বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”
তাঁরা অভিযোগ করেন, “চারিদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খোল হচ্ছে। কিন্তু তারপরেই এত রেফার কেন করা হয়। তারপরেও জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর এত নির্ভর করতে কেন হয়। কেন এখনও বার বার রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য অবস্থা ফুটে উঠছে। কেন পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স নেই।”
পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “ঘটনার তিরিশ দিন কেটে গেলেও রাজ্য সরকার আমাদের মূল দাবি নিয়ে সদিচ্ছা গ্রহণ করেনি। সমস্ত দায় সিবিআই তদন্তের উপর চাপাতে চাইছে। পুলিশি গাফিলতি, স্বাস্থ্য দুর্নীতির ব্যাপারে কোনও তদন্ত হয়নি। সন্দীপ ঘোষ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটাও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। সিবিআই গ্রেফতার করার পর সন্দীপকে নামমাত্র শোকজ করা হয়েছে। অভীক এবং বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করলেও তার কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। এটি একটি আইওয়াশ মাত্র।”