জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) সুপ্রিম কোর্ট টাইম বেঁধে দিয়েছেন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) কাজে যোগ দিতে হবে। না হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিলে, তাঁরা কাজে যোগ দেওয়ার কথা ভাববেন বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) ডাকা স্বাস্থ্যভবন অভিযানে সিনিয়র চিকিৎসকরাও অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) প্রতীকি ব্রেন নিয়ে যান। তাঁরা স্লোগান তোলেন, ব্রেনকে এবার বিচারের কাজে লাগান।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) অভিযোগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্টকে রাজ্য ও রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে। ভুল পথে চালিত করেছে। সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শুধু তাঁদের আন্দোলনের জন্য যদি ২৩ জনের মৃত্যু হয়, তাহলে স্বাস্থ্যের বেহাল দশা সামনে উঠে আসে। এই বিষয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকৎসকরা একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”
পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “ঘটনার তিরিশ দিন কেটে গেলেও রাজ্য সরকার আমাদের মূল দাবি নিয়ে সদিচ্ছা গ্রহণ করেনি। সমস্ত দায় সিবিআই তদন্তের উপর চাপাতে চাইছে। পুলিশি গাফিলতি, স্বাস্থ্য দুর্নীতির ব্যাপারে কোনও তদন্ত হয়নি। সন্দীপ ঘোষ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটাও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। সিবিআই গ্রেফতার করার পর সন্দীপকে নামমাত্র শোকজ করা হয়েছে। অভীক এবং বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করলেও তার কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। এটি একটি আইওয়াশ মাত্র।”