পাঁচদফা দাবি জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করেন। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি মানা হবে, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। রাতভর চলে আন্দোলন Junior Doctors Protest)। রাত্রি দুটোর কিছু পরে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে। কিন্তু রাস্তা আঁকড়ে পড়ে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা Junior Doctors Protest)। বৃষ্টিতে ভিজেই তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন।
রাজ্যের অনেকেই হয়তো জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের সামনে স্লোগান দিতে পারছেন না। কিন্তু মানসিকভাবে তাঁরা রয়েছেন সেই আন্দোলনের সঙ্গে। বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors Protest) ও সাধারণ মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ পেতেই ত্রিপল হাজির হয় স্বাস্থ্যভবনের সামনে। সেই ত্রিপলের ভিতরেই চলতে থাকে স্লোগান। খানিকবাদে বৃষ্টি কমে গেলে জুনিয়র চিকিৎসকরা নতুন উদ্যোমে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, লালবাজার অভিযানে একই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় রাতে অবস্থানে থাকার সময় অঝোরে বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই আন্দোলনে হাজির হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। লালবাজার অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ চা করে এনে দেন আন্দোলনকারীদের। কেউ আবার তাঁর নিজের ছোট্ট চায়ের দোকানের সমস্ত বিস্কুট এনে দেন আন্দোলনকারীদের জন্য। কোনও বাড়ির দরজা সারাক্ষণের জন্য খোলা থাকে, যাতে কেউ বিশ্রাম নিতে চান বা বাথরুম ব্যবহার করতে চান। বাথরুম ব্যবহার করার জন্য ও রেস্ট নেওয়ার জন্য একটা রেস্তোরাঁ সারা রাত দরজা খোলা রেখেছিলেন আন্দোলনকারীদের জন্য।
জুনিয়র চিকিৎসকরা এই আন্দোলন শুরু করলেও বর্তমানে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ। হতে পারে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই শারীরিকভাবে আন্দোলনে আসতে পারছেন না। কিন্তু তাঁদের মন প্রতিটা মিছিলে হেঁটেছে। প্রতিটা জমায়েতে স্লোগান দিয়েছেন। রাজ্যের মানুষ, কলকাতার মানুষ যেভাবে পেরেছেন আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের পাশে থেকেছেন।