আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors protest) বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নিলে, আরও বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকে পড়তে হবে বলে কেন্দ্রীয় চিকিৎসক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্তারস অ্যাসোসিয়েশন (FORDA) এবং অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্টস অ্যান্ড জুনিয়র ডক্তরটস জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফোরাম (AIJAF) –এর তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। রাজ্য জানিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের (Junior Doctors protest) জন্য রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, যা একেবারেই ভুল তথ্য।
চিকিৎসকদের সংগঠন দুটোর তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই খুব শীঘ্রই সব রাজ্যের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। সেই বৈঠকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে বলে জানা গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানির সময় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors protest) কাজে ফেরার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। সময় সীমা সুপ্রিম কোর্টের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়। জানানো হয়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য ধরে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেও। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য মিথ্যে কথা বলছে। তারপরই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে নিলে তাঁরা আন্দোলনে যোগ দেবেন কি না, ভাববেন। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া হয় না। বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন।
মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। মৃতার কাকীমা বলেন, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না, তাঁরা কীভাবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলতে পারেন।” নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরা মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।