স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন (Junior Doctors Protest) স্থলে যান বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে দেখেই আন্দোলনকারীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকে (Junior Doctors protest) কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে দেওয়া হবে না বলে জুনিয়রক চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তিনি দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। কিন্তু সেখানে তিনি যাচ্ছিলেন না। দুদিকের রাস্তা বন্ধ থাকার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন (Junior Doctors Protest) ও বিক্ষোভস্থলের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছিল।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের খুনের হুমকি দেওয়া হল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীকে মৃত ঘোষণা করার পরেই তাঁর ময়নাতদন্তের কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ময়না তদন্ত ছাড়াই জুনিয়র চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, মৃত দেহের ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করে রোগীর পরিবার। কিন্তু কিছুতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত ছাড়া ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেন, তখন তাঁদের খুনের হুমকি দেন রোগীর পরিবার। পুলিশের সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১২টা থেকে আড়াটে পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আশ্বাসে সেই আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকরা তুলে নেন। আজ তাঁদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার অপরাধীকে ধরতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এরকমই পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। যতক্ষণ তাঁদের দাবি মানা হবে না, স্বাস্থ্যভবনের সামনে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে দেবেন, তা তাঁরা জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার রাতের দিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
মাঝরাতে আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার কাকীমা বলেন, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না, তাঁরা কী করে বলেন কাজে ফিরতে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি।