দুপুর দুটোর মধ্যে কতজন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors protest) কাজে যোগ দিয়েছে জানতে পেরে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলোর প্রিন্সিপালকে চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে মান্যতা দেওয়ার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors protest) অনুরোধ করছেন। পাশাপাছি জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও প্রচন্ন হুমকি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তারপরেই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলোর প্রিন্সিপালকে স্বাস্থ্য দফতরের এই চিঠি যথেষ্ঠ তাৎপার্যপূর্ণ।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors protest) সঙ্গে দেখা করেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স-এর সদস্যরা। তাঁরা সম্পূর্ণভাবে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors protest) সমর্থন করেন। তাঁরা বলেন, বার বার যে চিঠি গুলো ইমেলে পাঠানো হয়েছে, সেখানে কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা নেই। মুখ্যমন্ত্রী বরং বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। সেই দোষ তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের দিতে চাইছেন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স-এর সদস্যরা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা যে পাঁচ দফা দাবি করেছেন তা অত্যন্ত নায্য। আমরা মনে করি, সেগুলো শুনে সমাধানের কোনও সদিচ্ছা প্রশাসনের দেখা যায়নি। নবান্ন থেকে যে মেলগুলো আসে, কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ নেই। বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসতে চান না।
সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের বার বার কাজে ফিরতে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দোষীরা গ্রেফতার হননি এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেভাবে এখনও হুমকি সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শোনা গেল না।