বহু প্রতীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক কার্যত ভেস্তে যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কার্যত নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপরেই বৈঠক ভেস্তে যায়। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, “অনেকে আলোচনায় রাজি ছিলেন। দু-একজনের জন্য বৈঠক হচ্ছে না, বাইরে থেকে তাঁদের কাছে নির্দেশ আসছে।” এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, “আশা করছি বুঝতে পারছেন ওরা বিচার চায় না। চায় চেয়ার।”
জুনিয়র চিকিৎসকরা খুব সতর্কভাবে তাঁদের আন্দোলনকে অরাজনৈতিক রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা যোগাযোগ করতে এলে, আমরা গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছি। আমাদের যে কট দাবি রয়েছে, সেখানে কোথাও চেয়ারের উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রে তিনি কীভাবে এধরনের মন্তব্য করতে পারেন।”
পাঁচটা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নবান্নে পৌঁছে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, লাইভ স্ট্রিমিং না হলে তাঁরা বৈঠকে বসবেন না। অন্যদিকে, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এই পরিস্থিতিতে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার জেরে বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। বৈঠক ভেস্তে গেলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলটি নবান্নের সামনে প্রতীকি অবস্থানে বসে পড়েন। তাঁরা জানান, যতক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, ততক্ষণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান। তারপরে জুনিয়র চিকিৎসকরাও নবান্নের থেকে বাসে করে স্বাস্থ্য ভবনের আন্দোলনস্থলে চলে আসেন।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করছিলাম, ভেবেছিলাম ডাক্তার ভাইবোনেদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমরা বলেছিলাম, খোলা মনে আলোচনায় আসুন। কথা বললেই সমস্যার সমাধান হয়। আমরা স্বচ্ছতার জন্য ভিডিওগ্রাফির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা বিচারাধীন মামলা নিয়ে আলোচনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে পারি না। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আমরা লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারি না।”