নবান্ন সভাঘরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করল আদালতকে প্রভাবিত করতে। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। সুপ্রিমকোর্টের শুনানি তো লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশ দেখছে।’
নবান্নের সভাঘরে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তার সাথে আদালত অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, নবান্নের সভাঘরে কি বিচার প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল? পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আসলে ওঁর মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক।
পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী ‘সিমপ্যাথি কার্ড’ ব্যবহার করছেন এই বলে যে বৈঠক হলে নাকি নির্যাতিতার জন্য নীরবতা পালন করতেন, অথচ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল আনার সময়ে নির্যাতিতার জন্য কোনও শোকপ্রস্তাব ছিল না।
“দ্বিতীয়ত, উনি নাকি দু’দিন ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু নির্যাতিতার মা বাবা, সহকর্মীগণ, নাগরিক সমাজ আজ ৩৩ দিন অপেক্ষায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে ওঁর কি মতামত? যে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়? আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো।”
মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, চিকিৎসকদের তরফে বৈঠকে এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন উঠলে মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিতে পারতেন না তাই লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি জানান বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।