রাজ্য প্রশাসনের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। আগের দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এবার দিল্লির দরবারে হাজির হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে ইমেল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior Doctors Protest)। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) মেল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা নেই, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই, সরকারি হাসপাতালে মহিলাদের কাজের পরিবেশ উদ্বেগজনক বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) ইমেলে দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অগণিত সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের একটি সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু প্রশাসন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। লাইভ টেলিকাস্ট করতে অস্বীকার করে। যার জেরে বৈঠক ভেস্তে যায়। বৈঠক ভেস্তে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ নবান্নে ছিলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা নবান্নের সামনে প্রতীকি অবস্থান করেন। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি বেরিয়ে যান। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরে জুনিয়র চিকিৎসকরাও স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি লাইভ স্ট্রিমিং করতে চাননি, কারণ সুপ্রিম কোর্টে ঘটনার বিচার হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত করছে। অন্যদিকে, তিনি পরোক্ষে বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোনের সঙ্গে রাজনৈতিক রঙ রয়েছে। তিনি বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরতে চাইছেন। বৈঠক করতে চাইছেন। কিন্তু দু-এক জনের জন্য তাঁরা পারছেন না। বাইরে থেকে তাঁদের ওপর নির্দেশ আসছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে। তিনি বলেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, চেয়ারের ওপর ভরসা করে বিচার চাইতে গিয়েছিলেন।