তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা ভাইরাল অডিও (Viral Audio clip) কাণ্ডে CPM-এর যুব সংগঠন DYFI এর এক নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া নেতার নাম কলতান দাশগুপ্ত। শুক্রবার এই ঘটনায় (Viral Audio Clip) হালতু থেকে সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভাইরাল অডিও ক্লিপে (Viral Audio Clip) ডাক্তার ধরনা মঞ্চে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গতকাল কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই ভাইরাল অডিও ক্লিপের (Viral Audio Clip) কথা প্রকাশ্যে আনেন।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, (Viral Audio clip) জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যাতে সেই হামলার অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে যায়। কুণাল ঘোষ জানান নবান্নে চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। সেই সময় তিনি সরাসরি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বাম নেতা বা অতি বাম নেতারা যুক্ত। এরপরেই বিধাননগর কমিশনারেট স্বতঃপ্রণেদিত হয়ে মামলা রজু করেন। তারপর প্রথমে সঞ্জীব ও পরে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়।
সঞ্জীব এবং কলতানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩, ৩৫১ এবং ৩৬১ নং ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছে ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। আজ বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে সঞ্জীব এবং কলতানকে। এই মুহূর্তে ফিয়ার্স লেনে ধরনায় বসেছেন বামেরা। শুক্রবার রাতে সেখানে কলতান ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের বিধাননগর ডিসি অনীশ সরকার ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, “পেশাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে আন্দোলনে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে অডিও ক্লিপও পাই, যার মাধ্যমে এই চক্রান্তের কথা জানতে পারি। ওই অডিও ক্লিপে দু’জনের কথোপকথন শুনি। এই অডিওতে যেই দুজনের গলা শুনতে পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সঞ্জয় ও অন্যজন কলতান। এই অডিওটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয়েছি, যে দুটো গলার স্বর পাওয়া গিয়েছে, সেটা সঞ্জয় ও কলতানের। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।”