ভাইরাল অডিও (Viral Audio Clip) কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি কার্যত উত্তাল হয়ে পড়েছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপে (Viral Audio clip) জানা যাচ্ছে, দুই জন জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার ছক কষছে। এমন ভাবে তারা হামলার ছক কষছে, যাতে মনে হয় এই হামলা শাসকদলের তরফে করা হয়েছে। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, এই দুই ব্যক্তির একজনের নামের প্রথম অক্ষর ‘স’ এবং অন্যজনের প্রথম অক্ষয় ‘ক’। তারপরেই পুলিশ সঞ্জীব দাস ও কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে? অডিয়ো ক্লিপ (Viral Audio Clip) কী করে কুণাল ঘোষের কাছে গেল? কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতার গণতান্ত্রিক বলা যায় না। তিনি নাশকতার ছক কষছিলেন এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু, আমি তাঁকে যতদূর চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ নন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, এই গ্রেফতারি শাসকের স্বৈরাচারী মানসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
অন্যদিকে, সঞ্জীব এবং কলতানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩, ৩৫১ এবং ৩৬১ নং ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছে ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। আজ বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে সঞ্জীব এবং কলতানকে। এই মুহূর্তে ফিয়ার্স লেনে ধরনায় বসেছেন বামেরা। শুক্রবার রাতে সেখানে কলতান ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের বিধাননগর ডিসি অনীশ সরকার ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, “পেশাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে আন্দোলনে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে অডিও ক্লিপও পাই, যার মাধ্যমে এই চক্রান্তের কথা জানতে পারি। ওই অডিও ক্লিপে দু’জনের কথোপকথন শুনি। এই অডিওতে যেই দুজনের গলা শুনতে পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সঞ্জয় ও অন্যজন কলতান। এই অডিওটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয়েছি, যে দুটো গলার স্বর পাওয়া গিয়েছে, সেটা সঞ্জয় ও কলতানের। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।”