টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময় সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন (RG Kar Doctor Death)। অভিজিৎ মণ্ডলকে জুতো দেখানো হয় বলে জানানো হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে চেয়ে (RG Kar Doctor Death) টালা থানার ওসিকে শিয়াদহ আদালতে তোলা হয় অভিজিৎ মণ্ডলকে। প্রসঙ্গত, আদালত টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষকে (RG Kar Doctor death) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ (RG Kar Doctor Death) সিবিআই আদালতে পেশ করেছে। অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনার দিন সকাল ১০টায় খবর পেলেও কেন এত দেরিতে এফআইআর করল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওসির নেতৃত্বে তথ্য প্রমাণ (RG Kar Doctor Death) লোপাট করা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত ঘণ্টা পরে FIR কেন দায়ের করা হল, সেই নিয়েও একাধিক সন্দেহ সামনে এসেছে। ওই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহু প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ও সিবিআই-এর মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, আমরা সত্যি খোঁজার চেষ্টা করছি, পুলিশ বলে নয়, সন্দেহভাজন বলেই টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তিলত্তোমা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তেড়েফুঁড়ে উঠছে। জানা যাচ্ছে, টালা থানার ওসির পর সিবিআই-এর নজরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। তারপরেই বিনীত গোয়েলকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে। ইতিমধ্যে পুলিশের শীর্ষ কর্তাকে তলবের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই বলে জানা গিয়েছে। এই দুই আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে কলকাতা পুলিশের ইন্সস্টিটিউশন্যাল হেড হিসাবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ১৪ আগস্ট রাতে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, সেখানে দাঁড়িয়ে বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, “আমরা কোনও ভুল করিনি। আমি আমার অন্তর থেকে বলছি, আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। যদি সিবিআই প্রমাণ করতে পারে, আমি কিংবা আমার টিমের কেউ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছি, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছি, আমাদের দায় থাকবে। আমরা রেসপন্সিবল ফোর্স, এভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায় না।” কিন্তু প্রমাণ লোপাট যে করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তে।