ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) বৈঠকের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন মুখ্য সচিব। বিকেল ৫টায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসতে বলে চিঠি মুখ্যসচিবের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সেই চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘বৈঠকের কোনও ভিডিওগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিং হবে না। বৈঠকের লিখিত বিবরণী সই করে উভয়পক্ষকে দিয়ে দেওয়া হবে। এটাই পঞ্চম তথা শেষবার আবেদন করা হচ্ছে।’ জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) বৈঠকের স্বচ্ছতার জন্য বার বার ভিডিওগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গ শনিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কালীঘাটে বৈঠকের জন্য যান। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিং ও ভিডিওগ্রাফি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। যার জেরে বৈঠক ভেস্তে যায়। সরকারের সমস্ত শর্তে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজি হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন।
সেই সময় কাঁদতে কাঁদতে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) বলেন, হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর আলোচনা সম্ভব নয়। আমরা দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নয়। রাজ্যের অচলাবস্থা কাটাতে আমরা লাইভ স্ট্রিমিং, ভিডিও রেকর্ডিং সব ত্যাগ করলাম। কিন্তু তাও বলল আলোচনায় বসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। হয়, আপনারা বেরিয়ে যান। নইলে আপনাদের বাস ডেকে আপনাদের বের করে দেওয়া হবে। তারপরেই নিজেরা গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। আমরা ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, সহযোদ্ধারা ভিজছেন, আর উনি বলছেন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। আমরা বৃষ্টিতে ভিজে চারদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমাদের প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়েই বের করে দেওয়া হল। তার মানে কি প্রথম থেকে এটাই উদ্দেশ্য ছিল।” বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।