আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেখানেই সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দেয়। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আরজি কর কাণ্ডে মামলা চলার সময় হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) শুনানিতে রাজ্য সরকার, নির্যাতিতার পরিবার, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার সহ প্রায় শখানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীকে ধমক দেন।
শুনানি শেষের দিকে। হঠাৎ জনৈক আইনজীবী কিছু বলে ওঠেন। তাঁকে থেমে যেতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court )প্রধানবিচারপতি সুড় চড়ালেও ওই আইনজীবী কিছু বলতে উদ্যোত হয়। এরপরেই প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীকে ধমক দিয়ে বলেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক ফোরাম নয়। আপনি একজন বারের সদস্য। আপনি কোনও রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কী মনে করেন, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা চিকিৎসকদের সমস্যার বিষয়টা দেখছি। আপনি যদি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে নির্দেশ দেওয়া উচিত, তাহলে সেটা আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।” এরপরেই আইনজীবীকে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে কঠোর স্বরে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, একদিন মঙ্গলবার সিবিআইয়ের রিপোর্টে যেমন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তেমনি অন্যদিকে জানানস এই স্টেটাস রিপোর্ট পড়ে তিনি বিচলিত। সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টে কী রয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বেশ কিছু মন্তব্য করা হয়েছে, যা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।
কী বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে? মঙ্গলবার শুনানির একেবারেই শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তাদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয়। পাশাপাশি সিবিআই জমা দেয় নির্যাতিতার বাবার লেখা একটি চিঠি। যেটি তিনি সিবিআইকে লিখেছিলেন। জানা গিয়েছে, সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা ১২ সেপ্টেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে তিনি কিছু নাম দিতে চান, যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদে বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। তবে তিনি সেই নাম প্রকাশ্যে দেবেন না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে যে চিঠিটি দেওয়া হবে, তা যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।