কলকাতার (Kolkata Police) পরবর্তী পুলিশ কমিশনার হলেন মনোজ ভর্মা। বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে তাঁকে পরবর্তী পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিনীত গোয়েলকে তাঁর জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হল। বিনীত গোয়েলকে এডিজি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন এডিজি আইন শৃঙ্খলা (Kolkata Police) হলেন জাভেদ শামিম। নতুন ডিসি (Kolkata Police) নর্থ হলেন দীপক সরকার। এতদিন এই দায়িত্বে (Kolkata Police) ছিলেন অভিষেক গুপ্তা। তাঁকে সেকেন্ড হ্যান্ড ব্যাটেলিয়ানে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত আরজি করের ঘটনার পরে বার বার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রথম থেকে (Kolkata Police) বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ করেন। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা লালবাজার (Kolkata Police) অভিযান করেন। সেখানে গিয়ে বিনীত গোয়েলের হাতে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা প্রতীকি মেরুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা বিনীত গোয়েলের হাতে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।
সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে আন্দোনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের পাঁচ দফা দাবি তোলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সিপি বিনীত গোয়েল, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদত্যাগ। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাসভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, সিপি, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে তাঁদের পদ থেকে সরানো হবে। পাশাপাশি তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে আহ্বান করেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হওয়ার পর তাঁরা নিজেদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তারপরেই তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যদিকে, কপিল সিব্বাল রাজ্যের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য সওয়াল করেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা ভয় পাচ্ছেন। কারণ যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা মুক্ত। হাসপাতাল চত্বরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন তাঁরা কবে কাজে যোগ দেবেন।