আরজি করে (RG Kar ) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআই এবার DYFI নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে আগেই তলব করেছিল। বৃহস্পতিবার মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (RG Kar) সিবিআইয়ের তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। আরজি কর (RG Kar) থেকে নিহত তরুণীর দেহ বার করার সময় গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে জানা গিয়েছে, মিনাক্ষীকে গাড়ির সামনে দেখা গিয়েছে একাধিক ছবিতে। সেই কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নেত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) শুনানি ছিল। সেই সময় সিবিআইয়ের তরফে মুখ বন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিও সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জমা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে তিনি কিছু নাম দিতে চান, যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদে বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। তবে তিনি সেই নাম প্রকাশ্যে দেবেন না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে যে চিঠিটি দেওয়া হবে, তা যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সুপ্রিম কোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টে চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, আরজি করে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতিতে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডেও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, তিনি সিবিআইকে আবেদন করছেন, যেন দুর্নীতির সঙ্গে তরুনী হত্যার যোগসূত্র খতিয়ে দেখে। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আশ্বস্ত করে জানান, এই ধরনের ইঙ্গিত সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টেও রয়েছে। তবে সিবিআই তরুণীর হত্যাকারীকে খোঁজার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তার পাশাপাশি এই বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআইয়ের রিপোর্টে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।