মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে পর মিনিটস নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে জটিলতা দেখতে পাওয়া যায়। মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে কার্যত হতাশ জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছ থেকে কোনও ইমেল না আসায়, এবার জুনিয়র ডাক্তাররাই (Junior Doctors Protest) তাঁকে ইমেল পাঠালেন। সরকারের নতুন নির্দেশিকা চেয়ে ইমেল পাঠালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)।
বৃহস্পতিবার অবস্থানের দশম দিন এবং কর্মবিরতির ৪১তম দিন। বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি (Junior Doctors Protest) দলের বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপরে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও ইমেল পাননি জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। তার জেরে জুনিয়র চিকিৎসকরাই পাল্টা ইমেল করেন মুখ্যসচিবকে। কিন্তু সেই ইমেলের কোনও উত্তর এখনও আসেনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের ইমেলে ১৫টি পয়েন্টের উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এবং মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। বুধবার যে আলোচনা হয়েছে, সে মর্মে একটি খসড়া ইমেলে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই নির্দেশিকা চাইছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বুধবার নবান্ন থেকে ফিরে রাত দুটোর সময় ইমেল পাঠান জুনিয়র চিকিৎসকরা। ইমেলে বলা হয়েছে, প্রতিটি কলেজে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হুমকির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠবে, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা যাবে না ওই অভিযুক্তকে। বিভিন্ন কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন গত কয়েকবছপ বন্ধ হয়ে গেছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতেও বিজয়ী ছাত্র সংসদ নেই। তাই অবিলম্বে ছাত্র নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকেই পরোক্ষে আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর চাপ আসছে বলে অভিযোগ। তাঁদের মাথার ওপর ত্রিপল খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁবুতে (Junior doctors Protest) লাগানো ফ্যানও খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যাম্প খাট। এসব করতে ডেকরেটরদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের(Junior doctors Protest) । অন্য অনুষ্ঠান রয়েছে বলে অজুহাত দেখিয়ে ত্রিপল, পাখা খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের(Junior doctors Protest) একাংশের। তবে বিধাননগরের সিপি অনীশ সরকার জানিয়েছেন, আন্দোলন স্থল(Junior doctors Protest) থেকে এসব খুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে কোনও চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।