নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা নয়দিন স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন (Junior Doctors Protest) চালাচ্ছেন। ধরনায় বসেছেন। এরমধ্যে একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে বৈঠক হয়। অন্য আর একটি বৈঠক মুখ্যসচিবের সঙ্গে নবান্নে হয় (Junior Doctors Protest)। এই দুই ক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) দাবি কিছু ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া হয়। এরপরে আন্দোলনের অভিমুখ কী হবে, সেই নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসেছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) মূলত বেশ কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে আলোচনায় বসেছেন। স্বাস্থ্যভবনের থেকে ধরনা তুলে নেওয়া হবে কি না? জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) এবার নিজেদের কলেজে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন কি না? আংশিকভাবে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হবে কি না, এই বিষয়ে আলোচনা চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) মধ্যে। সেই আলোচনার মধ্যেই মুখ্যসচিব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে কঠোর ভাষায় একটি চিঠি লেখেন। যেখানে এখাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়, যেগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
স্বাস্থ্য সচিবকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে যেমন রয়েছে ডিউটিরুম, ওয়াশরুম, পানীয় জল, সিসিটিভির যে সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর দ্রুত সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর কমিটি ও আভ্যন্তরীণ যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর দ্রুত সমাধান করতে হবে। আভ্যন্তরীণ অভিযোগ বলতে মূলত থ্রেট কালচারকে বোঝানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে হত্যা ও খুনের পরেই থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের প্রায় সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। সেগুলোকেই এখানে বোঝানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর পরিবার ও রোগীর যেমস্ত অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর সমাধান দ্রুত করতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে উপযুক্ত নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। যদিও চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে প্রশ্ন আগেই তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টও জানায়, কীভাবে সাত দিনের ট্রেনিংয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।