হ্যাক হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল। সেখান থেকে কার্যত উধাও হয়ে গেল আরজি করের সমস্ত শুনানির ভিডিও। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে নিরাপত্তার বড় ত্রুটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেলে সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মূলত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিপ্টো কারেন্সির ভিডিও দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে কোনও একটি ভিডিওতে ক্লিক করলে অন্য ইউটিউবে চ্যানেল চলে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। অনেকে আবার ইউটিউবে সার্চ করে সুপ্রিম কোর্টের কোনও চ্যানেল খুঁজে পাচ্ছে না।
দেখা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর কাণ্ডের শুনানির কোনও ভিডিও আসছে না। সেই সমস্ত ভিডিও প্রাইভেট করে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক আধিকারিক ইউটিউবে চ্যানেল হ্যাক হওয়ার খবরটি স্বীকার করে নিয়েছে। আইটি টিম এই বিষয়ে কাজ করছে বলেও সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কতক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলটিকে ফিরে পাওয়া যাবে, আরজি কর কাণ্ডের শুনানির ভিডিওগুলো পাওয়া যাবে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি।
বার বার বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে দেশে। সেই নিয়েও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার হ্যাকাররা সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলের নিরাপত্তার যে বড় ত্রুটি ছিল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলের নিরাপত্তার এই অবস্থা হয়, সাধারণ ইউটিউব চ্যানেলগুলোর নিরাপত্তা কোথায় অবস্থান করছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে, সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে গুরুত্বপূর্ণ মামলার কার্যক্রম লাইভস্ট্রিম করার জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আদালত স্বীকার করেছে যে বিচারিক কার্যক্রমের লাইভ স্ট্রিমিং সংবিধানের 21 অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা ন্যায়বিচার অ্যাক্সেস করার মৌলিক অধিকারের অংশ। শীর্ষ আদালতের লাইভস্ট্রিমগুলির মধ্যে রয়েছে জাতীয় গুরুত্বের মামলাগুলির শুনানি, যেমন সংবিধানের ব্যাখ্যা নিয়ে বিরোধ, নাগরিক অধিকারকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যা, নির্বাচনী সংস্কার এবং জনস্বার্থের অন্যান্য বিষয়।