রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যার জল জাতীয় সড়কে উঠে এসেছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়েছে। যার জেরে এই পরিস্থিতি (Flood Situation) হয়েছে। অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) জেরে ঝাড়খণ্ডের সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ট্রাক চালকরা।
পুরুলিয়ার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যার জেরে একাধিক ট্রাক ঝাড়খণ্ড থেকে পুরুলিয়া হয়ে রাজ্যে পৌঁছাতে পারছে না। ট্রাকে পচনশীল বস্তু রয়েছে। সীমান্ত সীল করে দেওয়ার জেরে ট্রাকের ভিতরে যে সমস্ত জিনিস রয়েছে, তা পচে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গেছে। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন ট্রাক চালকরা। এক ট্রাক চালক বলেন, তিনি আপেল নিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছিলেন। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার জেরে ফলগুলো পচে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর ফল পচে গেলে তিনিও টাকা পাবেন না। চিন্তায় ট্রাক চালকরা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া সহ একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সাধারণ মানুষ তাঁর সামনে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, কোনও ত্রাণ তাঁরা পাচ্ছেন না। তাঁরা খাবার পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের শান্ত করে জানান, যাতে তাঁরা উপযুক্ত ত্রাণ ও ত্রিপল পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলার ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির ওপর দায় চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়েছে, যার এই অবস্থা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। এছাড়া জল না ছাড়লে বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে। তাতে আরও বড় ধরনের বিপদ হতো বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখিছেন বলে জানা গিয়েছে।