আরজি কর (RG Kar ) কাণ্ডে সিবিআই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তলব করেছে। ৯ আগস্ট আরজি করের (RG Kar) সেমিনার হলে নির্যাতিতার তরুণীর দেহ পাওয়ায় যায়। সেই দিনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে একাধিক বহিরাগতকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে। সেই সময় তারা আরজি করের (RG Kar ) সেমিনার হলে কী করছিলেন, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে-কে তলব করেছে সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস হাজিরা দিয়েছেন। চার ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। এখনও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তাঁকে সাংবাদিকরা একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তবে সিবিআই তলবে কোনও ডকুমেন্ট আনতে বলা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার নেপথ্যে একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সেটা কী সেটা বুঝতে চাইছে সিবিআই। একটি দৈনিক পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, দুই সহকর্মীকে নিয়ে নির্যাতিতা সন্দীপ ঘোষকে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অন্য একটি পত্রিকায় দাবি করা হয়েছিল, থিসিস পেপার জমা দেওয়ার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার কাছ থেকে। তবে সিবিআই সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
সেই ষড়যন্ত্র বিরূপাক্ষের অবদান কতটা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি দেখা হচ্ছে, সন্দীপের নির্দেশেই সেদিন তিনি আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কি না। বিরূপাক্ষের কল ডিটেলস সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ডের মধ্যে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘স্টেপ’ নেয় স্বাস্থ্য ভবন। ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা দেওয়া হয়েছে। তারপর স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এদিন অনুমান করা হচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।