স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা (Junior Doctors Protest) উঠতেই তড়িঘড়ি মুছে ফেলা হচ্ছে সমস্ত দেওয়াল লিখন। মুছে ফেলা হল (Junior Doctors Protest) স্লোগান। ফুটপাতে, রাস্তায় আঁকা স্লোগানের ওপর (Junior Doctors Protest) পড়ল আলকাতরার পোঁচ। স্বাস্থ্যভবন ও তার আশেপাশের দেওয়ালগুলোতে নতুন করে রঙ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। টানা নয়দিন ধরনা চালানোর পর জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) শুক্রবার তাঁদের অবস্থান স্বাস্থ্যভবন থেকে তুলে নেন। তাঁরা আংশিকভাবে কাজে ফেরেন।
তড়িঘড়ি এই স্লোগান, দেওয়াল লিখন মোছা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) জানিয়েছেন, স্লোগান মুছে দিলেই কি আন্দোলন মোছা যায়। মানুষের মনের অভ্যন্তরে (Junior Doctors Protest) প্রতিবাদের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। সেগুলো মোছা সম্ভব নয়। যেগুলো মোছা হচ্ছে সেগুলো প্রতীকি বলেও জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে টানা ৪২ দিন কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার তাঁরা আংশিকভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা জরুরি বিভাগের কাজে যোগ দিয়েছেন। আউট ডোর বা অন্য জরুরি পরিষেবা নয়, এমন ক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকরা থাকছেন না। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২৭ তারিখের মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না হলে, তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে যোগ দেবেন। তবে বর্তমানে ITU, ICU-তে আগের মতোই সিনিয়র চিকিৎসকদের সহযোগিতা করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ করেছিলেন। সেখানে বার বার অভিক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে এসেছে। সিজিও কমপ্লেক্সে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস হাজিরা দেন। তবে তিনি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন। চার ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। এখনও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চার ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। সেই ষড়যন্ত্র বিরূপাক্ষের অবদান কতটা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি দেখা হচ্ছে, সন্দীপের নির্দেশেই সেদিন তিনি আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে সিবিআই দেখছে। বিরূপাক্ষের কল ডিটেলস সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।