সুসংবদ্ধ দল, একাধিক ম্যাচে পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো, মাঠের লড়াইয়ে সঙ্ঘবদ্ধভাবেই অধিকাংশ সময়ে খেলতে দেখা যায়। তবুও এখনো পর্যন্ত আইএসএল (ISL) টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এর আগে চারবার আইএসএল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে লাল- হলুদ শিবির। কিন্তু প্রতিবারেই কোয়ালিফাই করার আগেই ছিটকে গিয়েছে ম্যাচ থেকে। এশিয়ান জয়ী শতাব্দী প্রাচীন এই দলের আইএসএল (ISL) পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। এবার রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, কোচির জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে কেরল ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
ইতিমধ্যেই ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি এনওসি সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য। আর এই অনুমোদন পাওয়ার পরেই লাল- হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। এবার ডিফেন্ডার আনোয়ারকে নিয়েই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে আরো শক্তিশালী করে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে কিভাবে আক্রমণ তৈরি করা যায়, সেই স্ট্র্যাটেজি কষতে শুরু করেছেন কুয়াদ্রাত। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে চূড়ান্ত ভাবে পরাজয়ের পরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দলের ফুটবলাররা মানসিকভাবে একটু ভেঙে পড়লেও যেহেতু লাল- হলুদ শিবির যথেষ্ট সঙ্ঘবদ্ধ, তাই পরবর্তীতে ফের নতুন আশা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত তারা।
ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ অর্থাৎ অফেন্স, মাঠের লড়াইয়ে অ্যাটাকিং মোডে থাকলেও ডিফেন্স নিয়ে কিছুটা চিন্তা ছিল। সেই ডিফেন্সের চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে লাল- হলুদ জার্সিতে খেলতে নামার অপেক্ষায় থাকা ডিফেন্ডার আনোয়ার। তবে একবার পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, চারবার ইস্টবেঙ্গল আইএসএল (ISL)ম্যাচ খেলেছে। সেক্ষেত্রে ২০২০- ২১ আইএসএল মরশুমে পেয়েছে ১৭ পয়েন্ট, ২১- ২২ মরশুমে ১১ পয়েন্ট,২২-২৩ মরশুমে ১৯ পয়েন্ট এবং ২৩- ২৪ মরশুমে ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে লাল- হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু কোনোবারেই আইএসএল (ISL) টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তারা। যা একেবারেই আইএসএল (ISL)ম্যাচের ক্ষেত্রে এশিয়ান জয়ী দলের কাছ থেকে আশা করা যায় না। তবে এবার অনেক বেশি বিদেশি বিখ্যাত ফুটবলাররা দলে এসেছেন। ফলে ২০২৪- ২৫ আইএসএল টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল কিছু করতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। রবিবার কেরল ব্লাস্টার্সএর বিরুদ্ধে নতুন ছকে এগোচ্ছেন লাল- হলুদ শিবিরের কোচ কুয়াদ্রাত।