বীরভূমের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কথায় বীরভূমে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। অনুব্রত (Anubrata Mondal) শারীরিক দিক থেকেও বেশ হেভিওয়েট ছিল। কিছুতেই তাঁর ওজন কমছিল না। যার জেরে তাঁর শরীরে একাধিক জটিলতা দেখাা গিয়েছে। ১৮ মাস তিহাড় জেলে থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ওজন প্রায় ৩০ কিলো কমেছে। একেবারে ঝরঝরে শরীর নিয়ে জেলের বাইরে পা রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal) ।
২০২২ সালের ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ইডিও তাঁকে গ্রেফতার করে। আসানসোল থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। প্রায় দুই বছর ধরে অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলেই রয়েছেন। অবশেষে বন্দিদশা ঘুচতে চলেছে এবার। জেলের বাইরে পা রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবারই দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ জামিন দেয় সিবিআই।
তবে তিহাড় জেলে কঠোর অনুশাসনে থেকে বেশ কিছুটা ভালো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তিহাড় জেলের কঠোর অনুশাসনের জেরে ১৮ মাসে অনুব্রত মণ্ডলের ৩০ কেজি ওজন কমেছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক একাধিক শারীরিক জটিলতা ছিল। যার জেরে দিল্লির বিখ্যাত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে যখন গ্রেফতার হয় অনুব্রত মণ্ডল, সেই সময় তাঁ ওজন ছিল ১১৫ কেজি। এবার জানা গেল, জেলে থেকে ৩০ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের। ফলে এখন তাঁর শরীর অনেকটাই ছিপছিপে।
ওজন কমার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক শারীরিক জটিলতা কমে গিয়েছে। অতিরিক্ত ওজনের কারণেই একাধিক জটিল রোগে ভুগতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগতেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই শ্বাসকষ্ট এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জানা যায়, দিল্লিতে আনার কয়েকদিনের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে হুইল চেয়ারে আনা হতো। কিছুদিন পর থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজিরা দিতে পারতেন না। বিচারকের নির্দেশে ভিডিও কনফারেন্সে অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দিতেন। জানা গিয়েছে, এখন যাবতীয় জটিলতা আপাতভাবে কাটিয়ে উঠে বেশ কিছুটা চাঙ্গা বীরভূমের বাঘ। অপেক্ষার তিহার থেকে বাইরে পা রাখার। স্বমেজাজ বীরভূমে প্রত্যাবর্তনের।