ডিভিসির (Flood Situation) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ডিভিসি (Flood Situation) থেকে পদত্যাগ করলেন রাজ্যের প্রতিনিধি বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু। অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ার প্রতিবাদে (Flood Situation) তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ ডিভিসির অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ার (Flood Situation) জেরে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের কবলে চলে গিয়েছে। ডিভিসির জল ছাড়ার বিরোধিতা (Flood Situation) করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন।
ডিভিসি-কে কাঠগোড়ায় তুলে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Flood Situation) নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি (Flood Situation) লেখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাফ জানিয়ে (Flood Situation) দেওয়া হয়, ডিভিসি রাজ্য সরকারকে জানিয়েই জল ছেড়েছিল। এবার দ্বিতীয় চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টার নোটিসে’ জল ছাড়া হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য সরকারকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে, তা স্পষ্ট।
বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার উদনারায়ণপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, VC ৪ লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে। এত জল এর আগে কখনও ছাড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, আদতে সর্বোচ্চ ২.৫ কিউসেক হারে জল ছেড়েছিল ডিভিসি। আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কথা আগেই বলেছিল DVC।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, DVC কে জল না ছাড়ার জন্য চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ডিভিসির চেয়ারম্যান সেই অনুরোধ মানেননি বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন। পাঞ্চেত, মাইথনে সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত জল ধরা হয়নি বলেও দ্বিতীয় চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের মন্তব্যে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের দোষ ঢাকতেই কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যখন সবুজ সঙ্কেত থাকে, তার অর্থ সব কিছু ঠিক থাকে। কমলা থাকে যখন, তার অর্থ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। লাল রঙের অর্থ হল জল ছাড়া হবে। যখন পরিস্থিতি খারাপ হবে, তখনই তো জল ছাড়া হবে বলে বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন।