অর্থনৈতিক সংকটে যুজতে থাকা শ্রীলঙ্কা নতুন রাষ্ট্রপতি (Sri Lanka new President) পেতে চলেছে। মার্কসবাদী নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অনুরা কুমারের রাষ্ট্রপতি হওয়া নিশ্চিত। যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজু যেমন ভারতবিরোধী প্রচারের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তেমনি অনুরা কুমারও ক্ষমতায় এসেছেন। অনুরা কুমারকে চিনপন্থী নেতা বলে মনে করা হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি (Sri Lanka new President) জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি ভারতের সাথে চলমান অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দেবেন।
চিন ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এদিকে, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশও এই মুহূর্তে পাকিস্তানপন্থী সরকার গঠন করেছে। পাকিস্তান বরাবরই চিনপন্থী। এছাড়াও, মালদ্বীপে মহম্মদ মুইজুর চিন সমর্থনকারী সরকার গঠিত হয়েছে। এখন ভারতের আরেকটি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাতেও (Sri Lanka new President) একটি মার্কসবাদী সরকার গঠন হতে চলেছে।
অনুরা কুমার দিসানায়েকের দল জনতা বিমুক্তি পেরেমুনা (জেভিপি) ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) সঙ্গে জোট গঠন করেছে। অনুরা কুমারা হলেন জোটের প্রার্থী। অনুরা কুমারের দল অর্থনীতিতে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, কম কর এবং আরও বন্ধ বাজারকে সমর্থন করে। অনুরা কুমার দিসানায়েকে (৫৫) উৎসাহব্যঞ্জক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য পরিচিত। শ্রীলঙ্কায় এই প্রথম কোনও মার্কসবাদী নেতা রাষ্ট্রপতি (Sri Lanka new President) হতে চলেছেন। শ্রীলঙ্কার নির্বাচনের দিকেও নজর রাখছে ভারত। দিসানায়েকে নির্বাচনী প্রচারের সময় ভারতীয় সংস্থা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রেখেছেন।
দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার ভোটের আগে অনুরা কুমার ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। যদিও শ্রীলঙ্কা সবসময়ই ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী ছিল, তবে এখন পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হয় তা দেখতে হবে।