আর জি কর (RG Kar Case) মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ কীভাবে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিবিআই।
রবিবার ও শনিবার আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সিবিআই তলব করে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে-কে। এবার সিবিআই স্ক্যানারে (RG Kar Case) পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে (RG Kar Case) , ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন হাসপাতালে যান পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। ওই দিন তাঁকে হাসপাতালের মর্গের আশেপাশে ও শ্মশানে দেখা গিয়েছিল। মৃত তরুণীর দেহ দ্রুত সৎকারের জন্য নির্মল ঘোষের অতি সক্রিয় ভূমিকা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, দেহ উদ্ধারের দিন আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের চেম্বারে গিয়ে তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। কার নির্দেশে তিনি শ্মশানে গিয়েছিলেন। দেহ উদ্ধারের দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কী কথা হয় সেগুলো সিবিআইয়ের তরফে জানতে চাওয়া হবে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।
রবিবার সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আর জি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস এবং আরও ২ কর্মীকেও। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক সাংবাদিকদের সামনে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত সেদিন না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন মৃতার পরিবারের পরিচিত একজন। নিজেকে প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং সম্পর্কে মৃতার কাকা বলে পরিচয় দেন তিনি।
অন্যদিকে, চিকিৎসকের এই দাবিকে হাতিয়ার করেই শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছেন। দাবি করেছেন, চিকিৎসকের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।”