আর জি কর মেডিক্যালের (RG Kar)ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে ফের তলব করল সিবিআই। এই নিয়ে পর পর তিনদিন তলব করা হল অপূর্ব বিশ্বাসকে (RG Kar) । আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar) দেহ ময়নাতদন্তের দলে ওই চিকিৎসক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, অপূর্ব বিশ্বাস (RG Kar) অন্য অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, নির্যাতিতার কাকা (RG Kar) তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন ময়না তদন্তের জন্য।
অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, ‘তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। নিহতের কাকা পরিচয় দিয়ে একজন বলেছিলেন, ওই দিন ময়নাতদন্ত না হলে রক্তগঙ্গা বইবে। এক প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেছিলেন, রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন।’ অপূর্ব বিশ্বাসের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে নতুন করে শুভেন্দু অধিকারী আরজি কর কাণ্ডে একাধিক তথ্য সামনে আনেন। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছেন। দাবি করেছেন, চিকিৎসকের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। শ্মশানেও তিনি হাজির হয়েছিলেন। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’
অন্যদিকে, নিজের হয়ে সাফাই গাইতে নির্যাতিতার ওই ‘কাকা’ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি প্রতিবেশী। সেই হিসেবে তিনি কাকা বলেছিলেন। শ্মশানে নির্যাতিতার পরিবারের কেউ ছিল না, তাই তিনি সই করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও হুমকি কাউকে দেননি। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছিলেন।