মঙ্গলবার ভোরবেলাতেই বোলপুরে নিজের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে পৌঁছান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় দুই বছর পর বাড়ি ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। তবে বেশিরভাগের সঙ্গে তিনি (Anubrata Mondal) দেখা করেননি বলে জানা গিয়েছে। সকলকেই তিনি পরে আসতে বলেছেন।
বোলপুরে নিজের বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) আসার পরেই তৃণমূলের বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ ,নলহাটির তৃণমূল বিধায়ক রাজেন্দ্র সিংহ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, বীরভূম জেলার প্রাইমারি স্কুল বোর্ডের চেয়ারপার্সন প্রলয় নায়েক আসেন। তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকতে চাইলেও পরে আসার কথা বলেছেন তিনি। তবে কি তিনি তৃণমূলের এই নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না! এই প্রসঙ্গে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দীর্ঘ জার্নির পর বোলপুরে নিজের বাড়িতে এসেছেন। তিনি দিল্লি থেকে সোজা বাড়িতে এসেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। শুনলাম তাঁর পায়ে ব্যথা করছে। স্নান করে হয়ত নামবেন। হয়ত সেই সময় তাঁরা দেখা করতে পারেন।”
ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দরে নামেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর গাড়ি করে সোজা বোলপুরে আসেন। তবে বোলপুরে আসার আগে অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়কে বেশ কয়েকবার থামতে হয়। সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর বোলপুরের বাড়িতে আসেন। সেই সময় তাঁর বাড়িতে থিক থিক করছে ভিড়। নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিন নিচুপট্টির পার্টি অফিসে নিজের চেয়ারে বসে অনুব্রত মণ্ডল প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও ছিলেন সেখানে। সেখানে বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সুকন্যা এদিন কথা বলতে গেলে বার বার তাঁর গলা বুজে আসে। কেঁদে ফেলেন। মেয়ের এভাবে ভেঙে পড়া দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল। কান্না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। তবে শেষ অবধি পারেননি। দু’হাত দিয়ে চেপে ধরেন চোখ।