দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন (TMC MP)। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বসিরহাটের তৃণমূলের সাংসদ(TMC MP) শেখ হাজি নরুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে দত্তপুকুরের বহেরার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (TMC MP) শেখ হাজি নরুল ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাজি নরুল ইসলামের (TMC MP) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, “আমার গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মী, আমাদের বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলাম প্রয়াত হয়েছেন শুনে অত্যন্ত দুঃখ পেলাম। প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন সমাজসেবক ছিলেন (TMC MP) । পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির গরিব মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্বের অভাব অনুভব করবেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
২০০৯ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন হাজি শেখ নরুল ইসলাম (TMC MP)। সেখান থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য তৃণমূলের সাংসদ হ হাজি শেখ নরুল ইসলাম। পরেরবার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন।২০১৬ ও ২০২১ সালে হাড়োয়া আসন থেকে পরপর দুবার বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
২০২৪ সালে সন্দেশখালির পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। সন্দেশখালির ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন রেখা পাত্রকে। সঙ্কটের সময় তৃণমূল ভরসা করেছিল বর্ষীয়ান নেতা হাজি শেখ নরুল ইসলাম। বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির রেখা পাত্রকে পরাজিত করে হাজি শেখ নরুল ইসলাম জয়ী হন।
তবে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর থেকে শেখ হাজি নরুল ইসলামের অসুস্থতা বেড়ে গিয়েছিল। তাঁকে প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। শোনা যায়, নির্বাচনের প্রচারে সেভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের স্থানীয় ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রচার করেছিলেন। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।