রাজ্যের প্রায় সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আসছিল (RG Kar )। টাকার সাহায্যে পড়ুয়াদের পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া (RG Kar )। টাকা না দিতে পারলে ভালো স্টুডেন্টকে ফেল করিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ (Threat Culture) উঠছিল। জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন আন্দোলন করছিলেন, তখন তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল, এই থ্রেট কালচারের (Threat Culture) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবার থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আরজি কর।
আরজি করে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পিজিটি কিংবা MBBS পড়ুয়া বলে আরজি করে বিশেষ তদন্ত কমিটি সূত্রের খবর। যে সমস্ত অভিযোগকারীরা সামনে এসে অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত, অভিযোগকারী এবং সাক্ষীদের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড পর্ব চলে। শনিবার থেকে তদন্ত কমিটির তরফে শুনানি হয়। শনিবার ১০ জন অভিযুক্তকে ডাকা হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও ১২ জনকে ডাকা হয়েছিল। এদিন বিশেষ তদন্ত কমিটির কাছে বয়ান রেকর্ড করেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন অনুভব সাহা। তিনি বলেন, বয়ানে জানিয়েছেন, কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে থ্রেট কালচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল।
ইতিমধ্যে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কল্যানীর জেএমএম হাসপাতালে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৫৪ জনকে ছয় মাসের মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি বিশেষ ইমেল আইডি করা হয়েছে। থ্রেট কালচারের কেউ শিকার হলে সেই মেলে মেল পাঠাতে পারেন প্রমাণ দিয়ে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।